Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Ticker

6/recent/ticker-posts

কবি সুফিয়া কামলের জন্মদিন

                                                                জান্নাতুল আদন



সবসময় শিশুদের জন্য যিনি কাজ করেছেন এরং সমাজের সকল অন্যায় অত্যাচার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে যে মানুষটি সর্বদা সোচ্চার ছিলেন, তিনি হলেন কবি সুফিয়া কামাল। কবির জন্মদিন ছিল ২০ জুন তবে মেলার সদস্যরা ২৯ জুন কবি সুফিয়া কামলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে তাঁর জন্মদিন পালন করে।




















অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কবির বৈচিত্র্যময় জীবনের উপর আলোকপাত করেন চট্টগ্রাম প্রবাল কচি-কাঁচার মেলার সাবেক পরিচালক, বিশিষ্ট কথা-সাহিত্যিক ও কেন্দ্রীয়মেলার প্রবীণ সদস্য ডা. মোহিত কামাল।  শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মেলার তরুণ সদস্য রাশিদুল হাসান জুনায়েদ; কবির সান্নিধ্যে কাটানো অনেক স্মৃতি তুলে ধরেন মেলার সভাপতি খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ, সহ-সভাপতি কবি রুবি রহমান এবং শিশুবক্তা রাজ্যশ্রী সাহা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে মেলার শিশু সদস্য ফারমিহা আহমেদ শ্রেষ্ঠা। কবি সুফিয়া কামালের জন্মদিন উপলক্ষ্যে গত ২৪ মে ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানের সহ সভাপতি কবী রুবি রহমান বলেন, ‘কবি সুফিয়া কামাল সবসময় নারীশিক্ষা ও নারীদের অধিকার সম্পর্কে  সচেতন ছিলেন। তিনি তাঁর বিভিন্ন কবিতায় নারীদের শিক্ষা ও অধিকারের কথা তুলে ধরেন। কবি সুফিয়া কামাল নারী শিক্ষার অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার সহযোদ্ধা হিসেবে বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করেছেন।’

এরপর বক্তব্য রাখেন কথা-সাহিত্যিক ও কেন্দ্রীয়মেলারপ্রবীণ সদস্য ডা. মোহিত কামাল। তিনি বলেন,‘কবি সুফিয়া কামাল এ দেশের গর্ব। তিনি জীবনের সকল পর্যায়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। আমাদের সকলের উচিত কবি সুফিয়া কামালের আত্মজীবনী পড়া এরং অনুসরণ করা।’











এরপর মেলার সভাপতি খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ মেলা গড়ে উঠার ইতিহাস নিয়ে বলেন, কবি সুফিয়া কামালের তারাবাগের বাড়িতে কচি-কাঁচার মেলার জন্ম। তখন প্রতিসন্ধ্যায় তাঁর বাসায় সবাই বসতেন এরং সভা করতেন।

কবি সুফিয়া কামাল যেমন শিশুদের ভালোবাসতেন তেমনই শিশুদের কাছে তিনি প্রিয় ছিলেন। কবি সুফিয়া কামালকে তাঁরা খালাম্মা ডাকতেন। অর্থাৎ,তাঁকে তাঁরা মায়ের আসনে বসিয়েছিলেন। কারণ, তিনি তাঁদের মায়ের মতনই ¯েœহ করতেন এরং ভালোবাসতেন। তিনি কোন অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করতে পারতেন না।’

ইব্রাহিম খালেদ আরও জানান যে, তিনি সবসময় সকলপ্রকার অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেন। তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের সকলের উচিত কবি সুফিয়া কামালের মতো সহনশীল এরং পাশাপাশি সংগ্রামী মনোভাবের অধিকারী হওয়া।’

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘কবি সুফিয়া কামাল শিশুদের খুব ভালোবাসতেন, তিনি যেমন সহিষ্ণু ও মমতাময়ী ছিলেন, তেমন ছিলেন সংগ্রামী মনোভাবের অধিকারী। সমাজের সকল প্রকার কুসংস্কার ও অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার ছিলেন। আমি আমার জীবনের সকল পর্যায়ে তাঁকে আদর্শ হিসেবে মেনে চলি।’

আলোচনাসভার পর মেলার ভাইবোনদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।     



Post a Comment

0 Comments

যে দোয়া পড়া সুন্নত কঠিন বিপদ থেকে বাঁচতে