Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Ticker

6/recent/ticker-posts

জেনে নিন গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা।

গরুর মাংস অনেক স্বাদের এবং প্রায় সবার কাছেই খুব প্রিয় একটি খাবার। তবে বেশ কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ চিহ্নিত হওয়ায় খাবারটি প্রিয় হলেও অনেকে এড়িয়েও চলেন। কারণ গরুর মাংসে অনেক পুষ্টি থাকার পরেও অতিরিক্ত খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে থাকে। তাই গরুর মাংস গ্রহণ করার পূর্বে এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই চলুন এবার জেনে নিই এই খাদ্যের সুফল ও কুফলগুলো।

আমিষের চাহিদা পূরণ করে:- গরুর মাংস থেকে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন পাওয়া যায় যার শারীরিক গঠন ও বৃদ্ধিতে ভূমিকা রয়েছে। গরুর মাংস থেকে প্রথম শ্রেণির উন্নতমানের প্রোটিন পাওয়া যায়। সুস্থ মাংসপেশি গঠনে যা বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাছাড়া গরুর মাংসে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড থাকে, যা ত্বকের জন্য অনেক জরুরি।

জিংক এর অভাব পূরণ করে:- জিংক একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অনেকেই এর অভাবে ভুগে থাকেন। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীরা। তাই জিংকের অভাব দূরীকরণে গরুর মাংসের জুরি নেই।

ফসফরাসের উৎস:- গরুর মাংসে উপকারী ফসফরাস থাকে যা মজবুত হাড় ও দাঁতের জন্য জরুরি।
আয়রনের ভালো উৎস:- গরুর মাংসের আয়রন শরীরে ভালোভাবে শোষিত হয়। আয়রনযুক্ত অনেক খাবারের তুলনায় গরুর মাংস অনেক বেশি আয়রন দিয়ে থাকে। যা রক্তস্বল্পতা দূরীকরণ এবং শরীরের সব কোষে অক্সিজেন সরবরাহে সাহায্য করে। তাই শরীরে আয়রনের ঘটতি পূরণে গরুর মাংস বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

উপকারী ভিটামিন থাকে:- গরুর মাংসের মধ্যে প্রাপ্ত বি১২, বি৬ এবং বিরোফ্রাবিন শরীরে শক্তি সরবরাহে সাহায্য করে। তাছাড়া মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায়ও এর প্রয়োজনীয়তা অনেক।

তাছাড়া গরুর মাংসে প্রাপ্ত সেলেনিয়াম মানবশরীরে রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। গুরুত্বপূর্ণ এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেক খাবারের তুলনায় গরুর মাংসে বেশি।


গরুর মাংসের অপকারিতা

গরুর মাংসে কোলেস্টেরল বেশি থাকে:- অতিরিক্ত গরুর মাংস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কারণ গরুর মাংসে থাকে কোলেস্টেরল, ফ্যাট ও সোডিয়াম। কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই যাদের রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, তাঁদের অতিরিক্ত গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়:- অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে রক্তে চর্বির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। গরুর মাংসে প্রচুর সম্পৃক্ত চর্বি পাওয়া যায়, যা রক্তনালিতে জমে এথেরোসক্লেরসিস ঘটাতে পারে যা থেকে পরবর্তীকালে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করে:- গরুর মাংসের অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টিতে বা বাড়াতে সোডিয়াম সাহায্য করে। তাই অতিরিক্ত গরুর মাংস ঘন ঘন খেলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে, যা হৃদরোগ, স্ট্রোক বা কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে:- অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে, যা থেকে পরবর্তীকালে আরো অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

কিডনি রোগ ঝুঁকি বাড়ায়:- গরুর মাংস প্রথম শ্রেণীর প্রোটিনের ভালো উৎস। তাই অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে তা থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই যাঁদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে তাঁদের অবশ্যই গরুর মাংস এড়িয়ে যেতে হবে। তাছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে যাঁরা অতিরিক্ত গরুর মাংস খান, তাঁদের ক্যানসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

পরিশেষে বলব যেকোনো খাবারের ভালো-খারাপ দুটো দিকই থাকে। অতিরিক্ত খেলে স্বাস্থ্য ঝুকি বাড়ে, আবার কম খেলে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি থাকে। তাই সুস্থ থাকার লক্ষ্যে সবাইকে পরিমিত পরিমাণে গরুর মাংস খেতে হবে।

Post a Comment

0 Comments

যে দোয়া পড়া সুন্নত কঠিন বিপদ থেকে বাঁচতে