Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Ticker

6/recent/ticker-posts

পথ প্রদর্শক মনুআপা

                                                             পথ প্রদর্শক মনুআপা

                                                             ফাতেমা সাইফুল বীনু


দিল মনোয়ারা মনু। সবার প্রিয় মনু আপা। নিজের জীবনের চরাই-উতরাইর ভিতর দিয়ে চারপাশের সবাইকে পথ দেখালেন নিরবে।


পৃথিবীতে এমন মানুষ আছেন যার কোন শত্রু নেই। সবাই পছন্দ করে। তিনিও বুকভরা ভালবাসা দিয়ে আগলে রাখেন সবাইকে। যতদিন বেঁচে থাকেন শুধুই দিয়ে যান।তেমনি একজন আমাদের সবার প্রিয় মনু আপা।


কচি-কাঁচার মেলার জড়িয়ে দীর্ঘদিন। দাদাভাইও খুব ভালবাসতেন তাকে।তিনি দাদাভাইর মন জয় করেছিলেন তার কাজ আর দক্ষতা দিয়ে।


মনু আপার সাথে আমার প্রথম দেখা ১৯৭৪ সালে। কচি-কাঁচার মেলার প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে। তখন টাংগাইল থেকে এসেছিলাম সেচ্ছাসেবী সাথীবোন হিসেবে। মনুআপাকে তখন দেখেছি কি দীপ্ত পায়ে
মাঠের মাথা থেকে ওমাথা পর্যন্ত হেটে যেতে। তাবুতে ঢুকে ঢুকে সবাইকে জিঙ্গেস করেছেন-
-
কেমন আছ তোমরা?কোন অসুবিধা নাইতো? রাতে ঘুম হয়েছে ঠিকমতত? এমন স্নেহের কথায় বুক ভরে যেত আমাদের।


সরকারি চাকরী করতাম বলে এজেলা, সেজেলা ঘুরে যখন ঢাকায় এলাম আবার মনু আপার সাথে দেখা। মনু আপার উৎসাহেই আমি কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলায় যাতায়াত শুরু করি।


একজন সত্যিকারের শিশুপ্রেমিক ছিলেন মনু আপা।অনুষ্ঠান শেষে প্রায়ই দেখতাম-ছোটদের ডেকে তাদের প্রশংসা করছেন,উৎসাহিত করছেন। কি করে আরও একটু ভাল করা যায়-সে পরামর্শ দিচ্ছেন। আমার লেখা পড়ে কতবার পজিটিভ মন্তব্য। আমি আপ্লুত হয়েছি।


শুধু শিশুদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলেননা। সাংবাদিকতাকতায় তিনি ছিলেন সীদ্ধহস্ত।প্রতিটি কাজে আন্তরিকতা ছিল অসীম।পায়ে ব্যথার কারনে কষ্ট হলেও প্রেসক্লাবের মিটিং, সেমিনারে উপস্থিত থাকতেন।


অতিসাধারণ জীবনযাপনের মধ্যে থেকেও তার দৃষ্টি প্রসারিত ছিল অনেক দুর পর্যন্ত।দেশের গুনিজনদের নিয়ে তার লেখা প্রায়শই প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষ করে গুনিজনদের জন্মদিনে বা মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ করতেন তিনি।


সাপ্তাহিক অনন্যায় কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। আজকের অনন্যার এত সাফল্যের পিছনে মনু আপার অবদান অনেক।


সাপ্তাহিক বেগমেও তিনি কাজ করেছেন নিপুন হাতে। এভাবে মনু আপার পদচারণা ছিল অনেকদূর পর্যন্ত। তাই তার পরিচিতজনের সংখ্যাও ছিল অনেক।


প্রত্যেকের কাছেই মনুআপা ছিলেন অনন্যা। স্মৃতিচারন করতে গিয়ে সবার মুখ থেকেই বেরিয়ে আসে-"আমাকে বড় ভালবাসতেন মনু আপা। "


আমি ভাবতাম মনুআপা বুঝি আমাকে খুব ভালবাসেন। এখন দেখি সবাইকে তিনি একইভাবে পছন্দ করতেন।


দুঃখ শুধু যার এত ভালবাসা পেলাম সবাই কিন্তু তারে আমরা কত ভালবাসি তা বলা হোল না। প্রার্থনা করি মনুআপা যেখানেই থাকুন যেন ভালবাসায় ডুবে থাকেন অনন্তকাল।

 






 

Post a Comment

0 Comments

যে দোয়া পড়া সুন্নত কঠিন বিপদ থেকে বাঁচতে