Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Ticker

6/recent/ticker-posts

কচি-কাঁচার মেলার কাকলি পাঠাগার

                                                  কচি-কাঁচার মেলার কাকলি পাঠাগার

                                                            শেখ মোঃ হিমেল    

বাংলাদেশের জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন, কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা কাজ করে চলেছে শিশুদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক উন্নয়নে এবং দেশপ্রেম, সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্য সমৃদ্ধ করতে। তারই একটি অংশ হলো কাকলি পাঠাগার। 




কাকলি পাঠাগারে এসে  কচি-কাঁচার মেলার ভাইবোনরা বই পড়ে, তাদের মেধার বিকাশ ঘটায়। কাকলি পাঠাগারে প্রায় সব ধরনের বই রয়েছে। এখানে ছোটদের বই পড়ে শোনানো হয় এবং বড়রা নিজেরা বই পড়ে। তাদের এই বই পড়ার জন্য প্রতি তিন মাস পরপর বই পড়া ও গল্প বলা প্রতিযোগিতা কাকলি পাঠাগার থেকে আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের ৩টি বিভাগে ভাগ করা হয়। ক বিভাগ (৩+ থেকে ৬ বছর) বছর, খ বিভাগ (৬+ থেকে ১০ বছর) বছর ও গ বিভাগ (১০+ থেকে ১৫ বছর) বছর পর্যন্ত। ক ও খ বিভাগের প্রতিযোগীরা তাদের পছন্দমত এক একটি গল্প বলে। গ বিভাগের প্রতিযোগীদের প্রতিটি প্রান্তিকে কয়েকটি বই নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় এবং প্রতিযোগীরা সেই বই পড়ে। প্রতিযোগিতার দিন  সম্মাননীয় বিচারকগণ একটি গল্প নির্বাচন করে দেন এবং প্রতিযোগীদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গল্পটির মূলভাব লিখতে হয়। তারপর বিচারকগণ প্রতিযোগীদের নাম্বার দিয়ে বিজয়ী করেন। মেলার কোন অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। এতে যেমন প্রতিযোগীদের জ্ঞান বৃদ্ধি হয় তেমনি তাদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ে। তাছাড়াও কাকলি পাঠাগারের উদ্যোগে প্রতি মাসের শেষ শনিবার অনুষ্ঠিত হয় সাহিত্য বাসর। সেখানে মেলার ভাইবোনরা নিজেদের লেখা গদ্য, পদ্য পড়ে শোনায়। এখানেও প্রতিযোগিতার সাথে প্রতিযোগীদের কবি হওয়ার নমুনা পাওয়া যায়। তাদের চিন্তাভাবনা সৃজনশীলতা সম্পর্কে জানা যায়। এতে তাদের বাংলা ভাষাও সমৃদ্ধ হয়। এখানে প্রতিযোগীদের বয়স নয়, বিষয় অনুযায়ী ভাগ করা হয় গদ্য ও পদ্য। এই প্রতিযোগিতায়ও বইপড়া ও গল্প বলা প্রতিযোগিতার মত বিজয়ী করা হয় ও পুরষ্কার দেওয়া হয়।


কাকলি পাঠাগার এভাবে কচি-কাঁচার মেলার ভাইবোনের মেধা বিকাশ, সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে। কাকলি পাঠাগারের অবদান অনেক।  

 

 



Post a Comment

0 Comments

যে দোয়া পড়া সুন্নত কঠিন বিপদ থেকে বাঁচতে