অধ্যাপক ড. রওশন আরা ফিরোজ
সহ-সভাপতি, কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা
১৯৫৫ খ্রীষ্টাব্দের কথা। আমি কুমিল্লা ফয়জুন্নেছা স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি। বই পড়ার নেশা আর কবিতা লেখার পোকা ঢুকেছে মাথায়। সেই সময় স্কুলে খেলাধুলার পিয়িড় ছাড়া কোন বিনোদনের সুযোগ ছিলোনা আমাদের। বাসায় একটি মাত্র ঢাউস মার্ফি রেডিও। কিন্তু ওটা ছিল বড়দের দখলে। গল্পের বই ও উপন্যাস পড়া ডেঁপোমীরে লক্ষন ছিল। পড়তাম লুকিয়ে লুকিয়ে। এখনকার মতো টিভি, মোবাইল, ইন্টারনেট, ফেসবুক কল্পনাতেও ছিলনা। নাটক সিনেমার দেখার প্রশ্নই ওঠেনা।
সেই সময় ‘ইত্তেফাক’ পত্রিকাটি ছিল জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ১৯৫৫ র এপ্রিল মাস থেকে শুক্রবারের ইত্তেফাকে‘ কচি-কাঁচার আসর’ নামে শিশুদের জন্য একটি পাতা প্রকাশিত হলো। তার মধ্যে কী নেই? শিশু-কিশোদের লেখা গল্প, কবিতা, ভ্রমণকাহিনী। ডাক পিয়নের ঝুলিতে দাদাভাই নামে একজন ছোটদের চিঠির উত্তর দেন। ‘খোশ আমদেদ’ কলামে নামে নতুন সদস্য (সব্য নামে পরিচিত) যারা হয় তাদের নাম ও ক্রমিক নাম্বর ছাপা হয়। অনেক ছোট বাচ্চাদের লেখা ছাপা হয় তার ক্যাপসান কচি- হাতে মুক্ত ঝড়ে। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. আবদুল্লাহ-আল মূতি শরফুদ্দিন বিজ্ঞানের জটিল বিষয় জলবৎ তরল করে আমাদের জন্য লিখতেন ‘এসো বিজ্ঞানের রাজ্যে’। গ্রাম বাংলা হরিয়ে যাওয়া লোক-গীতি, ছড়া প্রবাদ সংগ্রহ করে পাঠালে তা ছাপা হতো। ‘কুড়িয়ে পেলাম মানিক রতন’ নামে। এ ছাড়া ও শিশু-কিশোদের আঁকা ছবিও ছাপা হতো। আর সবচেয়ে আকর্ষণীয় ‘দাদাভাই’ এর চিঠি। ভাবতাম এই বুড়ো দাদাভাই কী যাদুকরি চিঠি লিখেন। এই যাদুর টানে আমিও কচি-কাঁচার আসরের সভ্য হয়ে গেলাম। ছাপার অক্ষরে নাম উঠলো সভ্য নম্বর ৫৩৮৬। সে কী উত্তেজনা। একটা গল্প পাঠালাম কুটুমবাড়ী, নামে তাও হয়ে গেলো। আনন্দ আর ধরেনা। প্রতি শুক্রবার কচি-কাঁচার আসরে ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়লাম। আসরের দামী পাতাটা জমানো শুরু করলাম। কচি-কাঁচার আসরের ড্রয়ার বোঝাই হয়ে গেলো। এই কচি-কাঁচার আসরই আমার প্রথম ভালোবাসা ও স্বপ্ন।
১৯৫৬ খ্রীষ্টাব্দে ৫ অক্টোবর দাদাভাই ও কবি সুফিয়া কামালের নেতৃতে শিশু কিমোর সংগঠন কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার আত্মপ্রকাশ। ‘কচি-কাঁচার আসরে মেলার খবর শোন’। শিরোনামে ছাপা হয় দেশের অন্যান্য অঞ্চলে কচি-কাঁচার মেলা গড়ে উঠার খবর। ‘কাকলী পাঠাগারের জন্য’ একটাকা, দু‘টাকা’ করে চাঁদা তোলা হচ্ছে। মাঝে মাঝে শিশু-কিশোরদের নিয়ে ক্যাম্প, প্রদর্শনী, র্যালী কতকিছু হচ্ছে। খবর পড়ি আর ভাবি আমাদেরও কিছু করার দরকার। এমনি সময় ১৯৫৭ খ্রীষ্টাব্দের জুন মাসে আমার বড় ভাই প্রয়াত প্রকৌশলী আজিজের বন্ধু শাহ আলম ভাই (দুজনেই কুমিল্লা জিলা স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র) কয়েকজন বন্ধু নিয়ে গড়ে তুলনেন। ‘আবাহনী কচি-কাঁচার মেলা। আজিজ ভাইও এর সাথে জড়িত ছিলেন বলে আমি আবাহনী মেলার সব খবর পেতে লাগলাম। আবাহনী মেলার রচনা প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বন্যা দূর্গতদের জন্য রিলিফ ওয়ার্কসহ কুমিল্লা শহরের শিশু-কিশোদের নিয়ে বিভিন্নরকমের সৃজনশীল ও সেবাধনী কাজে সম্পৃক্ত হলো। আমি আবাহনী মেলা আয়োজিত বেশ কয়েকটি রচনা প্রতিযোগিতায় বই পুরস্কার পেলাম। আমাদের সেই সময় ‘বই’ পুরস্কারই সবচেয়ে দামী পুরস্কার ছিল।
ভাই মেলার কর্যক্রমে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৫৮ খ্রীষ্টাব্দে আমার খালা হোছনেআরা বেগম (রত্না) আগ্রহী হয়ে গড়ে তুললেন কুমিল্লা প্রভাতী কচি-কাঁচার মেলা। আমি সাহিত্য সম্পাদিকার দায়িত্ব পেলাম। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত আবাহনী মেলার সাথে যৌথভাবে প্রভাতী মেলা বেশ কয়েকটা অনুষ্ঠান করেছে। পঞ্চাশের দশকে মেয়েদের স্কুলের বাইরে গিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম করা অনেক সামাজিক বাঁধা ছিল। তবুও আমরা কচি-কাঁচার মেলায় এতোটাই অনুপ্রানিত ছিলাম যে অভিভাবকদের অনুরোধ করে এই শুভ কাজে অংশগ্রহণের অনুমতি পেয়েছিলাম। আমার বান্ধবী ফেওজিয়া প্রভাতী মেলার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।
মনে পড়ে সম্ভবত ১৯৫৮ বা ৫৯ এ কেন্দ্রীয় মেলা থেকে মাহবুব তালুক্দার ও খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ভাই কুমিল্লা মেলা পরিদর্শনে এসেছিলেন। ১৯৬০ খ্রীষ্টাব্দের ১৪ ও ১৫ অক্টোবর আমার জীবনের স্মরণীয় দিন। আবাহনী মেলার চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লার দু’টি মেলা পরিদর্শনে এলেন দাদাভাই, কবি জসিমউদ্দিন, ও বেগম সুফিয়া কামাল। তাঁদের নিয়ে প্রখ্যাত গাইকা বুলা গোস্মামী সহ কেন্দ্রীয় মেলার কয়েজন সাথী ভাইবোনেরা কুমিল্লায় এসেছেন। এ পরিদর্শন কুমিল্লা শহরের এক সাড়াজাগানো ঘটনা ছিল। প্রভাতী মেলা ও আবাহনী মেলা যৌথ উদ্যোগে সংধ্বর্ণা, সাহিত্য সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
আমরা দাদাভাইকে দেখে বিস্মিত হলাম। পত্রিকায় বুড়োর প্রতিচ্ছবি দেখে বদ্ধমূল ধারণা ছিল দাদাভাই একজন বৃদ্ধব্যক্তি। তার বদলে আমাদের সামনে হাজির হলেন চশমা পরা ছিপছিপে একজন বুদ্ধিদীপ্ত সুদর্শন তরুন (দাদাভাই এর বয়স সম্ভবত: ৩৪ হতে পারে)। কবি জসিমুদ্দিন ঢিলাঢালা পোষাক পরা সাদা সিধা একজন সহজ সরল মানুষ আর া শ্বেত শুভ্র বসনা সর্বজন শ্রদ্ধের কবি বেগম সুফিয়া কামাল। কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার তিন মধ্যমনিকে পেয়ে আমরা আনন্দে আত্মহারা। তাঁদের আগমন উপলক্ষে শিশুদের হয়তে বানানো শিল্পি প্রদর্শণী, সাহিত্য সম্মেলন, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ও কুমিল্লা টাউনহলে বিচিত্রানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ১৪ অক্টোবর শুক্রবার। ১৫ অক্টোবর শনিবার প্রভাতী বোন মেলার উদ্যোগে গাঙচর আনোয়ারা লজে চা চক্রে ব্যবস্থা করা হয়। হোসনে আরা রত্নার বানানো নানারকমের পিঠা পরিবেশনার সবাই মুগ্ধ। এরপর অতিথিদের নিয়ে আমরা দুই মেলার ভাইবোনেরা কুমিল্লা ভিলেজ একাডেমী, লালমাই পাহাড় ও কোটবাড়ীর শালবন বিহার পরিদর্শণ করলাম। বিকালে টাউনহলে শিশু-কিশোর ও যুববৃদ্ধ সকলের বিশাল সমাবেশ। কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার আগত অতিথিদের নাগরিক সংর্ধ্বনা ও কচি-কাঁচাদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হলো। সংবধনায় বক্তব্য রাখেন দাদাভাই, কবি-বেগম সুফিয়া কামাল, জসীমুদ্দিন, অধ্যপক অজিত গুগ, ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যাপক কাজী নুরুল ইসলাম ও অধ্যাপক আলী আহমদ।
১৯৬৩তে আমি ও রত্নাখালাম্মা দুজনেই লেখাপড়ার কারণে ঢাকায় চলে আসাতে কচি-কাঁচার মেলার কার্যক্রমে ভাটা পড়ে। শাহ্ আলম ভাই করাচীত এবং আজিজ ভাই অন্যান্যরাও ঢাকায় পড়তে এলেনা। কিন্তু সংগঠনতো গতিময় সত্তা। কচি-কাঁচার আদশ পরিব্যপ্ত সব শিশু-কিশোরদের মধ্যে। তারা এগিয়ে এলো। নতুন উদ্যোম নিয়ে ১৯৬৮ খ্রীষ্টাব্দে ১৭ জলাই কুমিল্লাতে পূর্বাশা ও মধুমিতা মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। পূর্বাশা ভাইমেলা ও মধুমিতা বোন মেলার সমস্ত কর্যক্রম ফরিদা বিদ্যায়তনে পরিচালিত হয়। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা ভূমিকা অভ্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৬৯ খ্রীষ্টাব্দের ডিসেম্বরে কুমিল্লা ঈশ^র পাঠশালায় দুই মেলার উদ্যোগে অত্যান্তে সাফল্যের সাথে দ্বিতীয় প্রাদেশিক শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে কচি-কাঁচার মেলার সদস্যদের লাঠি খেলা, কাঠি নৃত্য, লড়ি নৃত্য, ব্রতচারী প্রশিক্ষন দেয়া হয়। ছবি আঁকার প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন শিল্পী প্রাণেশ মন্ডল ও সংগীতের প্রশিক্ষন দিয়েছিলেন প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী সুখেন্দু চক্রবর্তী। শিল্পীচার্য জয়নুল আবেদিন প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে সনদ পত্র বিতরণ করেন । পূর্বাশা ও মধুমিতা মেলা গত পঞ্চাশ বৎসর ধরে তাদের নিরবিচ্ছিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
২০১৫ খ্রীষ্টাব্দে ৯ এপ্রিল কুমিল্লা পৃর্বাশা ও মধুমিতা মেলার গৌরবোজ্জ্বল পঞ্চাশ বছর উদযাপন করা হয়। কেন্দ্রীয় মেলার পক্ষ থেকে আমার এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল। এ উপলক্ষে জাঁক জমক পূর্ণ র্যালী, প্রদর্শণী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কুমিল্লার বীরমুক্তি যোদ্ধাদের ছবি সম্বলিত প্রদর্শণী ও বিশেষ উল্লেখযোগ্য। মেলার বোন বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত শিরিনবানু মিতিলের স্মৃতি ভোলার নয়। আমি মিতিল একসাথে অন্যান্য প্রাক্তন সদস্যদের সাথে বাসে করে কুমিল্লায় গিয়েছিলাম। ১৯৫৭-থেকে ২০১৬ পর্যন্ত কমিল্লা আবাহনী ও প্রভাতী মেলা থেকে (১৯৫৭-১৯৬৩) বর্তমান পূর্বাশা ও মধুমিতা (১৯৬৪-২০১৬) অপ্রতিরোধ গঠিতে এগিয়ে চলেছে। সারা বৎসর কর্মকান্ডেনে ভরপুর থাকে মেলা দুটি। কুমিল্লা মেলার প্রক্তন সদস্যরা যারা ঢাকায় থাকেন প্রায় ২ দল বেধে কমিল্লার অনুষ্ঠানে যান।
আদর্শের সেতুবন্ধন দাদাভাই তৈরী করে দিয়েছেন। দেশপ্রেম, ষোল আনা বাঙ্গালীর সংস্কৃতিকর লালণ ও ধারণ, মুক্তিদের চেতনার বিকাশ, শান্তি ও মানবতার দর্শণে বিশ^াসী এ কচি-কাঁচার মেলা। শিশু, কিশোর তরুন ও প্রবীনদের মধ্যে এক ভালোবাসার মেলবন্ধন গড়ে তোলার মহৎ লক্ষ্য আমাদের প্রেরণা।
এবার কেন্দ্রীয় মেলায় আমরা প্রাক্তনরা কিভাবে সম্পৃক্ত হলাম তার একটা প্রাক ইতিহাস বর্ননা করি। ১৯৮৬ খ্রীষ্টাব্দের ১৮ই জুলাই দাদাভাই এর নের্তৃতে ও ইব্রাহিম খালেদ ভাই এর উদ্যোগ কচি-কাঁচার মেলার প্রাক্তন সদস্য ভাই-বোনদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার অগ্রণী ব্যাংকের ট্রেনিং ইন্টিউট মিলনায়তনে। দাদাভাই এর উপস্থিতীতে প্রাক্তনরা সবাই যার যার মেলার স্মৃতিচারণ করেন। দাদাভাই এর প্রেরণার কথা সবার বক্তব্যেই ওঠে এসেছিল। সেদিন সবাই মিলে কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার কার্যক্রমে গেলাম। কচি-কাঁচার মেলার ছোট আদনান ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালো। সেইদিন সভায় খোন্দকার ইব্র্রাহিম খালদে ভাইকে আহ্বায়ক করে কচি-কাঁচার মেলার প্রাক্তন সদস্য সম্বনয় পরিষদ গঠিত হয়। এরপর আমরা নিয়মিত ভাবে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের আহবানে সম্বয়ন সভায় মিলিত হয়েছি। প্রবীনরা অনেকেই আমরা কেন্দ্রীয় মেলার উপদেষ্টা পরিষদে সম্পৃক্ত হয়ে কচি-কাঁচার মেলার আদর্শকে বাস্তবায়িত করার কাজে নিয়জিত হলাম। নতুন উদ্যোমে নবীণ-প্রবীণের সম্বনয়ে দাদাভাই এর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা আরো গতিশীল হয়ে উঠলো।
আজ দাদাভাই আমাদের মধ্যে নেই ঠিকই কিন্তু যে আদর্শ নিয়ে কচি-কাঁচার মেলার অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল তা এখন ও অমলিন। একটা আদর্শ ও নৈতিক মূল্যবোধে অনুপ্রানীত এই সংগঠন শিশুদের মধ্যে সৃজনশীলতার বিকাশ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উদজ্জ্বিবিত করন, টীম ওয়ার্ক মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ, নিয়মানুবতিতা, শিষ্টাচার অসপ্রদায়িক চেতনায় দীক্ষিত হওয়া ও সমাজকল্যান মূলক বাজে উদ্বুদ্ধ করন কাজে নিয়োজিত । শুধু পুঁথিগত বিদ্যায় সত্যিকার মানুষ হওয়া যায় না। জীবনে ও কর্মে মানবতা প্রকাশ, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ জরুরি। বাঙ্গালী হাজার বছরের লালিত ইতিবাচক সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা লালন আমাদের লক্ষ্য। লক্ষ প্রানের বিনিময়ে যে স্বাধীণ বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি তার শিশুদের জন্য একজন সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলা আমাদের স্বপ্ন ও অঙ্গীকার। কচি-কাঁচার মেলা হোক আমাদের প্রেরণা।
0 Comments