আদিব কিবরিয়া
একুশ আমার গর্ব একুশ আমার গৌরব
মৃত্যু ভয়াল ভ্রকুটির উদ্ধত রোষে রুখেছি।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটির কথা মনে করে আজও আমরা রক্তাক্ত হই এবং গর্ববোধ করি। বাঙলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতেই বাংলার দামাল ছেলেরা রাজপথে প্রাণ দিয়েছিল তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি নিজস্ব ভাষা “বাঙলাভাষা“। ইউনেস্কোর দেওয়া আর্šÍজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত ২১শে ফেব্রুয়ারি এইদিন টিকে আমরা কচি-কাঁচারাও উদযাপন করি।
একুশে ফেব্রুয়ারি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে প্রতিবারের মত এবারও ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে হাতের লেখা ও শুদ্ধ বাঙলা বানান প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে মেলার সকলবয়সী ভাই ও বোনেরা অংশগ্রহণ করেন।
মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলায় ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় কচি-কাঁচার মিলনায়তেনে আলোচনাসভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতেই ঢাকার চকবাজার অগ্নিকা-ে হতাহতদের উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিল আদিব কিবরিয়া এবং ফাইরুজ মালিহা অদ্বিতীয়া। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মেলার প্রবীণ সদস্য কথাসাহিত্যে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরষ্কার ২০১৮ বিজয়ী ডাঃ মোহিত কামাল। তাঁর বক্তব্য ছিল ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও তাৎপর্য সম্পর্কে।
আলোচনার অংশগ্রহণ করেন মেলার প্রবীণ সদস্য একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংষ্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আমানুল হক। মেলার সহ সভাপতি ড. রওশন আরা ফিরোজ এবং শিশু বক্তা সুদীপ্ত রায়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করে মেলার ছোটবোন নওমি হাসিন অরিন।
আলোচনাশেষে হাতের লেখা, বানান, গল্পবলা ও বইপড়া (৪র্থ প্রান্তিক) প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ভাষা শহীদদের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানিয়ে মেলার ভাই ও বোনেরা নৃত্য, সঙ্গীত ও কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে এক সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
0 Comments