Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Ticker

6/recent/ticker-posts

আয়াতুল কুরসি

আয়াতুল কুরসি

পবিত্র কোরআন শরিফের দ্বিতীয় সুরা বাকারা। সুরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত আয়াতুল কুরসি নামে পরিচিত। এটি কোরআন শরিফের প্রসিদ্ধ আয়াত। পুরো আয়াতে আল্লাহর একত্ববাদ, মর্যাদা ও গুণের বর্ণনা থাকার কারণে আল্লাহ তাআলা এ আয়াতের মধ্যে অনেক ফজিলত রেখেছেন। এটি পাঠ করলে অসংখ্য পুণ্য লাভ হয়।

 

 بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ 

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

 
 اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُو ج
 আল্লাহু লা--- ইলাহা ইল্লা হুয়া
আল্লাহ,তিনি ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই,
 
ٱلْحَىُّ ٱلْقَيُّوم ج
আল হাইয়্যুল ক্কাইয়্যুম
তিনি চিরঞ্জীব (অমর), চিরস্থায়ী/সবকিছুর ধারক।
 
لَا تَأْخُذُهُۥ سِنَةٌ وَلَا نَوْم ج
লা- তা’খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম

তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়।

 

لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ قلے
লাহু মা ফিসসামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্
আকাশ ও ভূমিতে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর।
 
 
 مَن ذَا ٱلَّذِى يَشْفَعُ عِندَهُۥٓ إِلَّا بِإِذْنِهِۦ ج
মান যাল্লাযী ইয়াশ ফাউ ইনদাহু--- ইল্লা বি ইজনিহ
কে আছে এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তার অনুমতি ছাড়া?  

يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُم صلے
ইয়া লামু মা বাইনা- আইদীহিম ওয়ামা খ্বলফাহুম
দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন।
 
وَلَا يُحِيطُونَ بِشَىْءٍ مِّنْ عِلْمِهِۦٓ إِلَّا بِمَا شَآء ج
ওয়ালা ইয়ুহিতুনা বিশাইয়িম মিন ইলমিহী ইল্লা বিমা শা----আ   
এবং তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, 
কিন্তু তা ব্যতীত - যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন।
 
وَسِعَ كُرْسِيُّهُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْض صلے
ওয়াসিয়া কুরসি ইউহুস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদ
এবং তাঁর পদাসন/পা রাখার স্থান সমস্ত আকাশ ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টিত করে আছে।
 
وَلَا يَـُٔودُهُۥ حِفْظُهُمَا ج
ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা 
আর সেগুলোর দেখাশোনা-রক্ষণাবেক্ষণ করতে তিনি ক্লান্তিবোধ করেন না।
 
 
وَهُوَ ٱلْعَلِىُّ ٱلْعَظِيمُ
ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজী-ম।
আর তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।       
 

 আয়াতুল কুরসিতে মোট ৯টি বাক্য আছে। প্রথম বাক্যের সঙ্গে নবম বাক্য, দ্বিতীয়র সঙ্গে অষ্টম বাক্য, তৃতীয়র সঙ্গে সপ্তম বাক্য ও চতুর্থর সঙ্গে ষষ্ঠ বাক্যের অলৌকিক মিল! বাদ পড়ে শুধু পঞ্চম বাক্য। সেটি মাঝে থেকে কী সুন্দরভাবে তার অর্থ ও অবস্থানকে অর্থবহ করে তোলে।

 

হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পড়েন, তঁার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো কিছু বাধা হবে না। হজরত আবু জর জুনদুব ইবনে জানাদাহ (রা.) রাসুলুল্লাহকে (সা.) জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন কোন আয়াতটি নাজিল হয়েছে? রাসুল (সা.) বলেছিলেন, আয়াতুল কুরসি।

 

 



 

 

 

Post a Comment

0 Comments

যে দোয়া পড়া সুন্নত কঠিন বিপদ থেকে বাঁচতে