Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Ticker

6/recent/ticker-posts

মেলার সদস্যের ‘একুশে পদক’ প্রাপ্তি


                                                                                        আজমাঈন ফায়েক প্রথম

‘একুশে পদক’ বাংলাদেশের একটি জাতীয় এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। বাংলাদেশের বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে ১৯৭৬ সাল থেকে ‘একুশে পদক’ প্রদান করা হচ্ছে। ‘ভাষা আন্দোলনে’র শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সালে এই পদকের প্রচলন করা হয়। ২০১২ সাল পর্যন্ত ৩৬১ জন গুণীব্যক্তি ও ২টি প্রতিষ্ঠানকে ‘একুশে পদক’ প্রদান করা হয়েছে।

চলতি বছরের ২০শে ফেব্রুয়ারি ২১জন গুণীব্যক্তিকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। এই ২১জন ‘একুশে পদক’ বিজয়ীদের মধ্যে ২জন পদক বিজয়ী আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন কচি-কাঁচার মেলার প্রবীণ সদস্য। দু’জনের মধ্যে একজন কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন, আরেকজন হলেন গল্পকার, সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন একাধারে একজন কবি, স্থপতি, শিল্প সমালোচক, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক এবং সংস্কৃতিকর্মী। তিনি ১৯৪৩ সালের ৩১শে জানুয়ারি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপার রতিডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকে প্রবেশ করেন বাঙলা কবিতার ভুবনে। ‘একুশে পদক’ অর্জনের আগে তিনি ‘বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার’ ও ‘কবিতালাপ সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেন। বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় তিনি ‘একুশে পদক’ পুরস্কার অর্জন করেন।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্য সমালোচক ও কথা-সাহিত্যিক। তিনি ১৮ই জানুয়ারি ১৯৫১ সালে সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি চলতি বছরে বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ‘একুশে পদক’ লাভ করেন।

কচি-কাঁচার মেলা তাঁদের এই অর্জনের জন্য আড্ডার আয়োজন করে। মেলায় তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাঁদের এই অর্জনে আমরা সবাই আনন্দিত ও গর্বিত।

Post a Comment

0 Comments

যে দোয়া পড়া সুন্নত কঠিন বিপদ থেকে বাঁচতে